"আমাদের আক্রমণ ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধ ঠেকিয়েছে", নয়া দাবী ট্রাম্পের! দিলেন হিরোশিমা-নাগাসাকির উদাহরণ

প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৫ জুন ২০২৫, ২০:৩১:০১ : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি প্রায়শই সবকিছুর কৃতিত্ব নেন, তিনি বলেছেন যে ১২ দিনের ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ মার্কিন হামলার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করার কৃতিত্ব নিতে গিয়ে তিনি বলেছেন যে মার্কিন বোমারু বিমান ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে ভারী বোমা নিক্ষেপ করলে যুদ্ধ মূলত বন্ধ হয়ে যায়। তিনি দাবী করেন যে মার্কিন হামলার কারণেই দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা থামানো সম্ভব।

রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প দুই পক্ষের প্রাণহানির কথা উল্লেখ করে বলেন যে গত দুই সপ্তাহের হামলায় ইরান ও ইজরায়েল ব্যাপকভাবে তাদের জনগণ ও সম্পত্তি হারিয়েছে। তিনি বিতর্কিতভাবে ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধকে ১৯৪৫ সালে জাপানে মার্কিন পারমাণবিক হামলার সাথে তুলনা করেছেন, যেখানে জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকি শহর ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, ট্রাম্প বলেন যে ১২ দিনের যুদ্ধের সময় তেহরান 'নরকের মধ্য দিয়ে গেছে' এবং সেই কারণেই এখন তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হয়েছে। ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে হেগে যাওয়া ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, "আমি মনে করি না তারা আর কখনও এটা করতে পারবে। তারা তাদের তেল নেবে, তারা তাদের ক্ষেপণাস্ত্র নেবে এবং নিজেদের রক্ষা করবে... আমার মনে হয় তারা এটা করেছে। তারা সবেমাত্র নরকের মধ্য দিয়ে গেছে। তারা শেষ যা করতে চাইবে তা হল সমৃদ্ধকরণ। তারা সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করছিল। ঠিক আছে, সমৃদ্ধকরণ কঠিন। তারা এটি করার জন্য ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে, কিন্তু তারা তা করতে পারেনি।"

ট্রাম্প আরও দাবী করেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে ভাল সমন্বয় রয়েছে। তিনি দাবী করেছেন যে আমেরিকা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় আক্রমণ করার সময় এই যুদ্ধ শেষ হয়েছিল। ট্রাম্প বলেন, "আমি হিরোশিমার উদাহরণ দিতে চাই না, আমি নাগাসাকির উদাহরণও দিতে চাই না, তবে এটি ঠিক তেমনই। ঠিক যেমন ওই দুটি শহরে পারমাণবিক হামলা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটিয়েছিল, ঠিক একইভাবে ইরানের তিনটি ঘাঁটিতে মার্কিন হামলা ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটিয়েছিল।"

১৯৪৫ সালে আমেরিকা জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকি শহরে দুটি পারমাণবিক বোমা ফেলেছিল, যার ফলে দুই লক্ষেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। তাদের বেশিরভাগই ছিল বেসামরিক নাগরিক। এই আক্রমণের পর, জাপান মিত্র বাহিনীর কাছে নিঃশর্তভাবে আত্মসমর্পণ করে। এর ফলে দীর্ঘস্থায়ী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান ঘটে।