লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১১ জুন ২০২৫: ঘড়ি আমাদের সময় জানায়। আমাদের হাতে যতই স্মার্টফোন বা স্মার্টওয়াচ যাই থাকুক না কেন, ঘরে ঘরে ঘড়ি রাখার অভ্যাস কিন্তু মোটেও পাল্টায়নি। কিন্তু অনেক সময় যত্নের অভাবে ঘড়ি বন্ধ হয়ে অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকে। আর এখানেই হল সমস্যা। বন্ধ ঘড়ি বাস্তু শাস্ত্রে অশুভ বলে মনে করা হয়। এই ধরণের ঘড়ি ঘরে রাখলে নেতিবাচক শক্তির প্রবাহ বাড়তে পারে এবং পারিবারিক অশান্তি, আর্থিক ক্ষতি বা মানসিক চাপের সৃষ্টি হতে পারে।
কেন বন্ধ ঘড়ি অশুভ?
বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী, ঘড়ি সময়ের প্রতীক, যা জীবনের গতিশীলতা ও অগ্রগতির প্রতিনিধিত্ব করে। যখন কোনও একটি ঘড়ি থেমে যায় বা বন্ধ হয়ে যায়, তা স্থবিরতা এবং অগ্রগতির অভাবের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। এটি ঘরে নেতিবাচক শক্তির সৃষ্টি করতে পারে এবং পারিবারিক সম্পর্ক ও আর্থিক অবস্থার ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
বাস্তু শাস্ত্রে ঘড়ি রাখার নিয়মাবলী-
ঘড়ি মেরামত করুন বা বদলে ফেলুন: ঘড়ি যদি বন্ধ হয়ে যায়, তা দ্রুত মেরামত করা বা বদলে ফেলা উচিৎ। এটি ঘরে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ঘড়ি রাখার সঠিক স্থান: ঘড়ি উত্তর বা পূর্ব দিকে রাখলে তা শুভ বলে মনে করা হয়। দক্ষিণ দিকে ঘড়ি রাখা অশুভ এবং আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
ঘড়ির অবস্থান: ঘড়ি কখনই দরজার উপরে বা বিছানার উপরে রাখা উচিৎ নয়। এটি ঘরের শক্তির প্রবাহে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
ঘড়ির আকার ও ডিজাইন: ঘড়ি গোলাকার বা সোজা আকৃতির হওয়া উচিৎ। অস্বাভাবিক আকৃতির ঘড়ি নেতিবাচক শক্তি সৃষ্টি করতে পারে।
বন্ধ ঘড়ি বাস্তু শাস্ত্রে অশুভ বলে বিবেচিত হয় এবং এটি ঘরে নেতিবাচক শক্তির সৃষ্টি করতে পারে। অতএব, ঘরে কোনও ঘড়ি বন্ধ হয়ে গেলে তা দ্রুত মেরামত করে নিন বা বদলে ফেলুন।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment