উত্তর ২৪ পরগনা, কম্বল চাপা দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার মহিলার মৃতদেহ। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসত ২৮ নম্বর ওয়ার্ড অশ্বিনী পল্লী খালপার সংলগ্ন এলাকায়। গ্রেফতার মহিলার স্বামী। ধৃতের নাম বিজু সাহা।
বারাসত পৌরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের অশ্বিনী পল্লী খালপার অঞ্চলে ঘরবন্দী কম্বল চাপা মহিলার দেহ উদ্ধার। স্থানীয় সূত্রে খবর দু-এট দিন ধরে একটি ভাড়াবাড়ি ঘরে মধ্যে থেকে বিকট গন্ধ বেরোচ্ছিল। রবিবার বিকেলের সেই গন্ধের পরিমাণ বাড়তেই এলাকার লোকজন সেই বাড়ির মালিককে খবর দেন। বাড়ির মালিক তৎক্ষণাৎ বাড়িতে আসেন এবং সেই ভাড়া বাড়ির দরজা বন্ধ অবস্থায় দেখতে পান। একাধিকবার বাইরে থেকে আওয়াজ দেওয়া সত্ত্বেও ঘরের মধ্যে থেকে কেউ কোনও সাড়াশব্দ দিচ্ছিল না। তৎক্ষণাৎ বাড়ির মালিক খবর দেন পার্শ্ববর্তী তৃণমূল পার্টি অফিসে, সেখান থেকে খবর যায় বারাসত থানায়।
বারাসত থানা পুলিশ এসে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকতেই দেখতে পায় কম্বল চাপা দেওয়া একটি মৃতদেহ খাটের ওপর পড়ে রয়েছে। কম্বল সরাতেই দেখা যায় এক মহিলার মৃতদেহ। সূত্র মারফত খবর, মৃতদেহের মুখ ও দুটি হাত কিছু দিয়ে পোড়ানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বারাসত থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বারাসত মেডিক্যিল কলেজে ও হাসপাতালে পাঠায়।
বাড়ির মালিক জানান, এই বাড়িতে এক মাস ধরে স্বামী-স্ত্রী ভাড়া থাকতেন। স্বামী বিজু সাহা পেশায় বাস চালক বলে জানা গিয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-অশান্তি বেধে থাকত। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার দিন কয়েক আগে থেকেই স্বামী বিজু সাহাকে এলাকার মানুষ দেখতে পাননি। এদিন রাতেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তবে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বারাসাত থানার পুলিশ। আত্মহত্যা না খুন গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বারাসত থানার পুলিশ ।
No comments:
Post a Comment