লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৯ জুন ২০২৫: তামার পাত্রে রাখা জল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী, তা আমরা প্রা সকলেই জানি। এটি হজমশক্তি উন্নত করতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং শরীরকে বিষমুক্ত করতে সাহায্য করে। কিন্তু তামার পাত্রে জল পান করার সময় যদি কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রতি খেয়াল না রাখা হয়, তাহলে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হতে পারে। ফিটনেস বিশেষজ্ঞ লুক কৌটিনহো এই বিষয়ে বলেছেন যে, তামার পাত্রে জল পান করার সময় মানুষ কিছু সাধারণ ভুল করেন এবং এই ভুলগুলি ক্ষতির কারণ হতে পারে।
টিওআই-এর এক প্রতিবেদন অনুসারে, প্রথম ভুল হল, কিছু লোক তামার পাত্রে গরম জল বা লেবুর রস রাখেন। এটি একেবারেই করা উচিৎ নয় কারণ তামা গরম জল এবং লেবুর মতো অ্যাসিডিক জিনিসের সাথে বিক্রিয়া করে। এর ফলে শরীরের ওপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে- যেমন পেট ব্যথা, গ্যাস, বমি বা জ্বালাপোড়া। তাই, তামার পাত্রে কেবল স্বাভাবিক তাপমাত্রার জল রাখা উচিৎ এবং লেবু, মধু বা অন্য কোনও অ্যাসিডিক জিনিস যোগ করা উচিৎ নয়।
দ্বিতীয় বড় ভুল হল, কিছু লোক সারা দিন তামার পাত্রে রাখা জল পান করে। এটিও ঠিক নয়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মাত্র এক বা দুই গ্লাস তামার জল পান করা উপকারী। বেশি পান করলে শরীরে তামার পরিমাণ বেড়ে যায়, যা 'তামার বিষাক্ততা' সৃষ্টি করতে পারে। এই অবস্থা লিভার এবং কিডনির ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই, সীমিত পরিমাণে পান করা উচিৎ।
তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তামার পাত্রটি সঠিকভাবে পরিষ্কার করা উচিৎ। অনেকে এটি না ধুয়ে বারবার জল ভর্তি করে রাখেন, যার কারণে এতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে। প্রতিবার ব্যবহারের পর পরিষ্কার করুন এবং মাসে অন্তত একবার লেবু এবং লবণ দিয়ে ঘষে ভালো করে ধুয়ে নিন। এতে পাত্রটি চকচকে থাকবে এবং জলও বিশুদ্ধ থাকবে।
চতুর্থ বিষয় হল, তামার পাত্রে বেশিক্ষণ জল রাখা উচিৎ নয়। সাধারণত, রাতে জল ভর্তি করে সকালে পান করাই সবচেয়ে ভালো উপায়। কিন্তু যদি একই জল একই পাত্রে ২৪ ঘন্টা বা তার বেশি সময় ধরে রাখেন, তাহলে তা ক্ষতিকারক হতে পারে। বেশিক্ষণ রাখলে জলে তামার পরিমাণ বেড়ে যায়, যা বিষাক্ততার ঝুঁকি তৈরি করে।
অতএব, যদি আপনি তামার পাত্রে রাখা জল পান করেন, তাহলে এই বিষয়গুলি মনে রাখবেন। সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করলে, এটি আপনার শরীরের জন্য খুবই উপকারী হতে পারে, কিন্তু অসাবধানতার কারণে, একই জল আপনাকে অসুস্থও করে তুলতে পারে। কেবলমাত্র ভারসাম্য এবং সতর্কতাই এর আসল উপকার দিতে পারে।
No comments:
Post a Comment