প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২১:৫০:০১ : বৃহস্পতিবার রাতে অযোধ্যা জেলার পুরা কলন্দর থানা এলাকার পাগলা ভারি গ্রামের একটি বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। শক্তিশালী বিস্ফোরণে বাড়িটি ধসে পড়ে, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে পাঁচজন নিহত হন। আরও বেশ কয়েকজন আটকা পড়ে আছেন বলে জানা গেছে। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে এসএসপি এবং সিও সহ ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন।
জেসিবি ব্যবহার করে ধ্বংসস্তূপ অপসারণ করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি বাজি বিস্ফোরণ, তবে পুলিশ এবং প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে তদন্তের সময় পুলিশ একটি বিস্ফোরিত সিলিন্ডার এবং একটি কুকার খুঁজে পেয়েছে। জেলা হাসপাতালের ইএমও আশিস পাঠক জানিয়েছেন যে ঘটনার পর পাঁচজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। পাঁচজনকেই মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং তাদের দেহ পুড়ে গেছে। নিহতদের মধ্যে তিন শিশু এবং আরও দুজন রয়েছে।
খবর অনুযায়ী, কালান্দার থানা এলাকার পাগলা ভারি গ্রামের বাসিন্দা রামকুমার ওরফে পরশনাথ গ্রামের বাইরে নিজের তৈরি একটি বাড়িতে থাকতেন। বৃহস্পতিবার রাতে প্রচণ্ড বিস্ফোরণে তার বাড়ি ভেঙে পড়ে। শব্দ শুনে আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং স্থানীয় থানায় খবর দেন। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে এসএসপি ডঃ গৌরব গ্রোভার, এসপি সিটি চক্রপাণি ত্রিপাঠি এবং সিও অযোধ্যাও পুলিশ দল নিয়ে উপস্থিত হন।
সূত্রের খবর, ধারণা করা হচ্ছে যে বিস্ফোরণটি একটি বাজি থেকে ঘটেছে। বাড়িতে মজুত থাকা বাজিগুলির মধ্যে একটি গ্যাস সিলিন্ডার লিক হয়ে যাওয়ার ফলে একটি বিশাল বিস্ফোরণ ঘটে। গ্যাস সিলিন্ডার লিক হওয়ার সম্ভাবনাও বিবেচনা করা হচ্ছে কারণ পুলিশ ঘটনাস্থলে একটি বিস্ফোরিত সিলিন্ডার পেয়েছে। তবে, এটি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
পাগলা ভারি গ্রামে বিপুল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী উপস্থিত রয়েছে। আশেপাশের বাড়িগুলিও খালি করা হচ্ছে। এসএসপি ডঃ গৌরব গ্রোভার এবং আইজি প্রবীণ কুমার ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত উদ্ধার অভিযান তদারকি করছেন। এখনও কিছু লোক ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে যে তাদের লক্ষ্য বর্তমানে আটকে পড়াদের উদ্ধার করা। তিন শিশু সহ পাঁচজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। পুরকালান্দর থানার ইনচার্জ সঞ্জীব সিং দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
No comments:
Post a Comment