"জরুরি অবস্থার সমর্থক, জেপিকে অপমান করেছেন", মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

কলকাতা, ২৬ জুন ২০২৫, ০৯:২০:০১ : জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্ণ হওয়ার পর, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা এবং বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন। তিনি বলেছেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থার সময় যা ঘটেছিল তা-ই করছেন। তিনি বলেছেন যে সেই কারণেই তিনি সংবিধান হত্যা দিবসের বিরোধিতা করেন কারণ তিনিও একই জরুরি অবস্থার অংশ।

প্রকৃতপক্ষে, ২৫শে জুন, ইন্দিরা গান্ধীর জারি করা জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে। এই সময় অনেক বিজেপি নেতা কংগ্রেস দল এবং বিরোধী দলগুলিকে নিশানা করেছিলেন এবং জরুরি অবস্থার জন্য ইন্দিরা গান্ধী এবং কংগ্রেস দলের সমালোচনা করেছিলেন।

বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বলেছেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জরুরি অবস্থার সমর্থক ছিলেন। তিনি বলেছেন, "যখন তিনি ছাত্রনেতা ছিলেন, তখন তিনি জেপি নারায়ণকে অপমান করেছিলেন।" তিনি বলেছেন যে "ইন্দিরা গান্ধী যখন জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন, তখন হিন্দুত্ব এবং জনসংঘের নেতাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই কাজ করছেন। যারা হিন্দুদের পক্ষে আওয়াজ তোলেন তাদেরও তিনি জেলে পাঠাচ্ছেন।" তিনি আরও বলেন, "জরুরি অবস্থার সময় যা ঘটেছিল তা আজ বাংলায় ঘটছে। মমতা বন্দোপাধ্যায় অবশ্যই সংবিধান হত্যা দিবসের বিরোধিতা করবেন কারণ তিনিও জরুরি অবস্থার একজন অংশ।"

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার বলেছেন যে দেশে জরুরি অবস্থা জারির দিনটি ইতিহাসের পাতায় কালো অক্ষরে লেখা আছে। তিনি বলেছেন যে এটি সেই সময়ের কংগ্রেস সরকারের একনায়কতন্ত্রের প্রতীক, কিন্তু সমগ্র দেশ একসাথে এই জরুরি অবস্থার বিরোধিতা করেছিল এবং এর বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। তিনি বলেছেন যে বিহার সর্বদা সংবিধান অনুসারে পরিচালিত হয়েছে এবং নাগরিকদের অধিকার রক্ষা করেছে।

জরুরি অবস্থার ৫০তম বার্ষিকীতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ 'দ্য ইমার্জেন্সি ডায়েরি' নামে একটি বই প্রকাশ করেছেন। তিনি ভারতের প্রতিটি যুবকের কাছে আবেদন করেছেন যে তারা অবশ্যই এই বইটি পড়ুন। তিনি বলেন, "দেশের তরুণদের ইতিহাসের এই অন্ধকার অধ্যায় সম্পর্কে জানা উচিত।" ইন্দিরা গান্ধীকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, "যখন জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল, তখন বলা হয়েছিল যে জাতির নিরাপত্তা বিপদে, কিন্তু গোটা বিশ্ব জানে যে জাতির নিরাপত্তা নয়, বরং ইন্দিরা গান্ধীর চেয়ারই বিপদে ছিল।"