লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৬ জুন ২০২৫: ত্বকের যত্নে ফেসমাস্ক খুবই কার্যকর একটি উপায়। এটি ত্বক পরিষ্কার, উজ্জ্বল এবং স্বাস্থ্যবান রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু আপনার ত্বকের জন্য কোন উপাদান বেশি ভালো এবং কোন ফেসমাস্ক বেশি কার্যকরী সেই বুঝে ব্যবহার করা উচিৎ। না হলে উপকারের বদলে ক্ষতি হতে পারে। এছাড়াও বাজারে পাওয়া রাসায়নিক যুক্ত পণ্যের চেয়ে ঘরে তৈরি প্রাকৃতিক মাস্ক ব্যবহার বেশি ভালো।
নিচে বিভিন্ন ধরণের ত্বকের জন্য উপযোগী কিছু প্রাকৃতিক ফেসমাস্ক-
১. তৈলাক্ত ত্বকের জন্য:-
কারও ত্বক খুব তৈলাক্ত হয়। তাঁদের জন্য মুলতানি মাটির ফেসমাস্ক উপকারী। এই মাস্কটি তৈরি করতে প্রয়োজন-
মুলতানি মাটি – ২ টেবিল চামচ
গোলাপ জল – ২-৩ টেবিল চামচ
লেবুর রস – ১ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
পদ্ধতি:
সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন, এরপর ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
২. শুষ্ক ত্বকের জন্য:-
অনেকেরই ত্বক প্রচণ্ড শুষ্ক থাকে। এই ত্বকের জন্য চাই এমন মাস্ক, যা আর্দ্রতা যোগাবে। দুধ ও মধুর ফেসমাস্ক এজন্য ভালো। এটি তৈরিতে প্রয়োজন -
কাঁচা দুধ – ১ টেবিল চামচ
মধু – ১ টেবিল চামচ
অলিভ অয়েল – ১ চা চামচ
পদ্ধতি:
সব উপকরণ মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক হবে নরম ও ময়েশ্চারাইজড।
৩. সংবেদনশীল ত্বকের জন্য:-
কারও ত্বক খুব স্পর্শকাতর। তাঁদের জন্য উপকারী হতে পারে কলা ও দইয়ের ফেসমাস্ক। এর জন্য প্রয়োজন -
পাকা কলা – ১টা
টক দই – ১ টেবিল চামচ
মধু – ১ চা চামচ
পদ্ধতি:
সব উপকরণ ব্লেন্ড করে মিশ্রণটি মুখে লাগান। ২০ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৪. ব্রণপ্রবণ ত্বকের জন্য:-
ব্রণর সমস্যায় ভুগছেন যারা, তাঁদের জন্য নিম পাতার ফেসমাস্ক বেশ উপকারী। এটি তৈরিতে প্রয়োজন -
নিম পাতা বাটা – ১ টেবিল চামচ
বেসন – ১ টেবিল চামচ
গোলাপ জল – প্রয়োজনমতো
পদ্ধতি:
সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এরপর মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
অন্য টিপস:-
ফেসমাস্ক লাগানোর আগে মুখ পরিষ্কার করে নিন।
সপ্তাহে ২-৩ বার ফেসমাস্ক ব্যবহার করা ভালো।
প্রতিটি নতুন উপাদান ব্যবহার করার আগে প্যাচ টেস্ট অবশ্যই করুন।
No comments:
Post a Comment