প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১৬ জুন ২০২৫, ১৬:৪৫:০১ : মধ্যপ্রাচ্যে যা ঘটছে তার প্রতিধ্বনি এখন পাকিস্তানেও শোনা যাচ্ছে। ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে শুরু হওয়া সংঘাত এখন পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে আলোচনার দিকে ঠেলে দিয়েছে এবং এই বিষয়টিই পাকিস্তানকে নাড়া দিয়েছে।
গত সপ্তাহে ১৩ জুন ইজরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে আক্রমণ করে। লক্ষ্য ছিল তেহরানের ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করা। কিন্তু এখন ইসরায়েল স্পষ্ট করে দিয়েছে যে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে, পাকিস্তানের রাডারে বিপদের ঘন্টা আরও জোরে বেজে উঠেছে।
ইরান এই যুদ্ধের সরাসরি পক্ষ, তবে পাকিস্তান কেন ভীত? এর উত্তর পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ নিজেই দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে ইজরায়েল যদি এভাবেই চলতে থাকে, তাহলে কেবল ইরান নয়, আমরাও ধ্বংস হয়ে যাব। এই বিবৃতি থেকে বোঝা যায় যে ইসলামাবাদ তার অস্তিত্ব নিয়ে চিন্তিত হতে শুরু করেছে।
আসিফ বলেন, ইজরায়েলই একমাত্র দেশ যারা কোনও আন্তর্জাতিক পারমাণবিক চুক্তি, এনপিটি বা কোনও জবাবদিহিতার অংশ নয়। তারা কোনও নজরদারি ছাড়াই বিশ্বকে প্রকাশ্যে হুমকি দিতে পারে। অর্থাৎ, আইএইএ-এর মতো সংস্থাগুলি ইরানের উপর কঠোর নজর রাখলেও, ইজরায়েল কোনও নিয়ম, কোনও চেকের ভিআইপি পাস পেয়েছে না। এবং এটিই পাকিস্তানকে সবচেয়ে বেশি ভয় পায় কারণ তারা জানে যে যুদ্ধের পরিধি বৃদ্ধি পেলে ইজরায়েলের পরবর্তী লক্ষ্য অন্য কেউ হতে পারে।
আসিফ, যদিও ইঙ্গিতে, বিশ্বকে বলেছিলেন যে পাকিস্তানও একটি পারমাণবিক শক্তি, কিন্তু তারা এখনও পর্যন্ত এটি ব্যবহার করেনি। আসিফ বলেছেন যে আমরা আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বের জন্য প্রস্তুত, তবে আমরা সর্বদা আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে চলি। অর্থাৎ, পাকিস্তান নিজেকে সংযত দেখানোর চেষ্টা করছে।
পাকিস্তানি মন্ত্রী আমেরিকা এবং ইউরোপকেও লক্ষ্য করে বলেন। তিনি বলেন, অন্ধ সমর্থন ইজরায়েলকে নিয়ন্ত্রণহীন করে তুলছে। যদি এভাবে চলতে থাকে, তাহলে আগুন কেবল মধ্যপ্রাচ্যেই নয়, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। অর্থাৎ, ইসলামাবাদ এখন ইরানের পরের সারিতে নিজেকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখছে। এই কারণেই তাদের ভয় তেহরানের চেয়েও বেশি।
No comments:
Post a Comment