লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৪ জুন ২০২৫: ভালো খাবার খেলে সুস্থ থাকবে শরীর - একথা আমরা সকলেই জানি। সেইসঙ্গে এটাও ভাবি যে, লিভারের ক্ষতির কারণ শুধু অ্যালকোহল বা ফাস্ট ফুড। কিন্তু জানেন কি বেশ কিছু সাধারণ খাবারও লিভারে ফ্যাট জমিয়ে এর ক্ষতি করে? হ্যাঁ, সম্প্রতি দুবাই-এর সুস্থতা বিশেষজ্ঞ পলক মিধা এমন তিনটি খাবার চিহ্নিত করেছেন যা প্রায়ই চুপিসারে লিভারের ক্ষতি করছে। আসুন জেনে নিই এই সম্পর্কে -
১. ফ্রুকটোজ-সম্পৃক্ত ও চিনিযুক্ত খাবার
এর মধ্যে রয়েছে: বিস্কুট, ক্যান্ডি, চকোলেট, কোমল পানীয়, মিষ্টি ডেজার্ট।
ফ্রুকটোজ সরাসরি লিভারে যায় এবং ট্রাইগ্লিসারাইডে রূপান্তরিত হয়, যা ফ্যাটি লিভারের প্রধান কারণ ।
২. উন্নতীকৃত ভেজিটেবল “সিড” অয়েল
যেমন: সয়াবিন, সানফ্লাওয়ার, কর্ন অয়েল। এগুলোতে ওমেগা‑৬ অয়েলের পরিমাণ বেশি, আর যখন এগুলো বার বার গরম করা হয়, তখন লিভারে প্রদাহ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়াতে পারে।
৩. ফল-রস ও প্রক্রিয়াজাত জুস (এমনকি যা ১০০ শতাংশ ন্যাচারাল)
যদিও জুস অনেক সময় স্বাস্থ্যকর মনে হয়, এতে ফাইবার কম এবং ফ্রুকটোজ বেশি থাকে। রক্তে দ্রুত সুগার স্পাইক ঘটিয়ে লিভারে ফ্যাট জমাতে সহায়তা করে।
এছাড়াও --
স্ট্যান্ডার্ড ফুডস: সফট ড্রিঙ্ক, প্রক্রিয়াজাত স্ন্যাকস, প্যাকেজড মাংস, ফ্রাইড ফুড – এগুলো সাধারণভাবে ফ্যাটি লিভার ও লিভার ইনফ্লামেশন বাড়ায়।
সিড অয়েল ব্যবহার ও গরম করার সময়: বারবার রিহিট করলে ক্ষতিকারক যৌগ সৃষ্টি হয়, যা ফ্যাটি লিভার ও প্রদাহ বৃদ্ধি করে।
সমাধান ও বিকল্প পথ:
মিষ্টি ও ফ্রুকটোজ‑সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া বন্ধ বা সীমিত করুন।
সাধারণ তেলের পরিবর্তে অলিভ বা অ্যাভোকাডো তেল ব্যবহার করুন—যা ওমেগা‑৯ ও অ্যাণ্টি-ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য পূর্ণ।
গোটা ফল খান—জুস না। এতে ফাইবার থাকে যা চিনি সরাসরি শোষণ না করে ধীরে করে।
আপনার যদি লিভার-ডিজিজ যেমন ফ্যাটি লিভার বা হেপাটাইটিস–এর নির্দিষ্ট সমস্যা থেকে থাকে, তবে এই খাবারগুলো এড়িয়ে ভালো বিকল্প বেছে নিন। প্রয়োজনে পেশাদার ডায়েটিশিয়ান বা হেপাটোলজিস্টের পরামর্শ নিন, তাঁর কথা মেনে চললে আর একটু সাবধানতা অবলম্বন করলে লিভার ভালো থাকবে।
No comments:
Post a Comment