লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৩ জুন ২০২৫: রাজস্থানে বর্ষাকাল এসে গেছে এবং অনেক জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এর ফলে সর্দি-কাশি, জ্বর ও ঠাণ্ডা লাগার মতো মৌসুমি রোগের ঝুঁকিও বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা এই ঋতুতে দ্রুত আক্রান্ত হন। নিউজ এইটটিনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিকারের আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ডাঃ মুকেশ শর্মা বলেন, বৃষ্টিতে ভিজলে শরীরে ঠাণ্ডা লাগা বা জ্বরের লক্ষণ দেখা দিলে আতঙ্কিত না হয়ে দেশীয় প্রতিকার গ্রহণ করে উপশম পাওয়া যেতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর প্রতিকার হল শুকনো আদার ব্যবহার।
শুকনো আদায় অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা বর্ষার সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়ক। এটি শরীরকে উষ্ণতা প্রদান করে এবং ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা করে। শুকনো আদাতে উপস্থিত জিঞ্জেরল এবং শোগাওলের মতো উপাদান জ্বর কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর। এর ব্যবহার কেবল সর্দি-কাশি থেকেই মুক্তি দেয় না বরং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও মজবুত করে।
শুকনো আদা কীভাবে খাবেন?
ডাঃ মুকেশ শর্মার মতে, শুকনো আদা খাওয়ার সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকর উপায় হল শুকনো আদা চা। এর জন্য এক কাপ জল নিন। এতে আধা চা চামচ শুকনো আদার গুঁড়ো যোগ করুন। এরপর এক চা চামচ মধু এবং কয়েক ফোঁটা লেবু যোগ করুন। এই মিশ্রণটি ৫ মিনিট ফুটিয়ে হালকা গরম পান করুন। দিনে দু'বার এটি পান করলে ঠাণ্ডা লাগা এবং গলা ব্যথা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়। ঠাণ্ডা লাগার লক্ষণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে শুকনো আদা এবং গুড় মিশিয়ে খাওয়াও খুবই উপকারী। এটি শরীরকে উষ্ণ রাখে এবং সর্দি-কাশির প্রাথমিক লক্ষণগুলি প্রতিরোধে সহায়তা করে।
হলুদ-শুকনো আদার ক্বাথও কার্যকর-
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ডাঃ মুকেশ শর্মা বলেন, আরেকটি কার্যকর প্রতিকার হল হলুদ, শুকনো আদা, কালো গোলমরিচ এবং তুলসীপাতা জলে ফুটিয়ে একটি ক্বাথ তৈরি করা। এই ক্বাথ হালকা গরম পান করলে গলা ব্যথা, কাশি এবং জ্বর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই প্রতিকার শিশুদের জন্যও নিরাপদ, শুধু পরিমাণ মনে রাখবেন। এটি ঠাণ্ডা লাগা থেকে মুক্তি দিতেও কার্যকর।
বি.দ্র: চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনও কিছু ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment