জামের বীজে লুকিয়ে পুষ্টির ভাণ্ডার, জেনে নিন কীভাবে ব্যবহার করবেন - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, June 25, 2025

জামের বীজে লুকিয়ে পুষ্টির ভাণ্ডার, জেনে নিন কীভাবে ব্যবহার করবেন


লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৫ জুন ২০২৫: জামের সুস্বাদু পাল্প খাওয়ার পর আমরা প্রায়ই এর বীজ ফেলে দেই, কিন্তু আপনি কি জানেন যে জামের বীজও পুষ্টির ভাণ্ডার? হ্যাঁ, আয়ুর্বেদে এটিকে একটি শক্তিশালী ঔষধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করতে পারে। জামের বীজ জাম্বোলিন, ফ্ল্যাভোনয়েড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, যা এগুলিকে অত্যন্ত উপকারী করে তোলে।


জামের বীজের উপকারিতা:

রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ: জামের বীজ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আশীর্বাদের চেয়ে কম নয়। এতে জাম্বোলিন এবং জাম্বুসিনের মতো সক্রিয় উপাদান রয়েছে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এবং শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি রক্তে শর্করার বৃদ্ধিও নিয়ন্ত্রণ করে।


হজম উন্নত করে: এতে উপস্থিত ফাইবার হজম উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা এবং গ্যাসের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। এটি পাচক এনজাইম এবং পিত্তের নিঃসরণকেও উদ্দীপিত করে।


ত্বক এবং চুলের জন্য উপকারী: জামের বীজে প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ব্রণ, পিগমেন্টেশন, কালো দাগছোপ কমাতে সাহায্য করে। এটি অকাল বার্ধক্য কমাতে এবং ত্বককে পুষ্টি জোগাতে পারে। এটি চুলের জন্যও উপকারী, কারণ এতে ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা স্বাস্থ্যকর চুলের উন্নতি করতে পারে।


জামের বীজ কীভাবে ব্যবহার করবেন?

জামের পাল্প খাওয়ার পর, বীজগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর রোদে ভালো করে শুকিয়ে নিন যাতে এতে কোনও আর্দ্রতা না থাকে। শুকাতে ২-৩ দিন সময় লাগতে পারে। বীজগুলো সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে, মিক্সার বা গ্রাইন্ডারে মিহি গুঁড়ো তৈরি করুন। এই গুঁড়োটি একটি বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করুন। এটি দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চা চামচ জামের বীজের গুঁড়ো হালকা গরম জলের সাথে খান। আপনি এটি দুধ বা মধুর সাথে মিশিয়েও খেতে পারেন। আপনি আপনার সকালের স্মুদি বা তাজা ফলের রসে মিশিয়েও এই গুঁড়োটি নিতে পারেন।





বি.দ্র: এই প্রতিবেদনে দেওয়া টিপস কেবল সাধারণ তথ্যের জন্য। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কোনও ধরণের ফিটনেস প্রোগ্রাম শুরু করার আগে বা আপনার খাদ্যতালিকায় কোনও পরিবর্তন করার আগে বা কোনও রোগের সাথে সম্পর্কিত কোনও প্রতিকার গ্রহণের আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad