লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৮ জুন ২০২৫: আমাদের দেশে প্রতিটি বাড়ির রান্নাঘরেই হলুদ পাওয়া যায়। তবে এটি কেবল রান্নাঘরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এটা শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না বরং স্বাস্থ্যেরও যত্ন নেয়। কারকিউমিন সমৃদ্ধ হলুদ নিজের প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এটি জয়েন্টের ব্যথা কমাতে, হজমশক্তি উন্নত করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আমরা যদিও সাধারণত আমাদের বাড়িতে হলুদের গুঁড়ো ব্যবহার করি, কিন্তু কাঁচা হলুদও ব্যবহার করা হয় অনেক ক্ষেত্রে। এটি বেশিরভাগ সময় মন্দির এবং শুভ অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক দুটি হলুদের মধ্যে কোনটি বেশি ব্যবহার করা উচিৎ এবং কোনটি আমাদের জন্য বেশি স্বাস্থ্যকর-
পুষ্টির দিক থেকে
কাঁচা হলুদকে তাজা হলুদও বলা হয়, এতে প্রাকৃতিক তেল বেশি থাকে যা কারকিউমিনের শোষণ বাড়ায়। এটি ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টেও সমৃদ্ধ। অন্যদিকে, হলুদের গুঁড়ো কারকিউমিনে সমৃদ্ধ, তবে এটি তৈরিতে প্রক্রিয়াজাতকরণের কারণে প্রাকৃতিক তেল এবং পুষ্টি হ্রাস পায়।
কারকিউমিন
কাঁচা হলুদে ওজনের দিক থেকে কারকিউমিনের পরিমাণ কম, যা প্রায় ২-৫ শতাংশ। প্রক্রিয়াজাতকরণের কারণে হলুদের গুঁড়োতে কারকিউমিনের পরিমাণ ৫-৮ শতাংশ পর্যন্ত থাকে।
শেল্ফ লাইফ
কাঁচা হলুদের শেল্ফ লাইফ কম। ফ্রিজে রাখলে এটি ২-৩ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। অন্যদিকে হলুদের গুঁড়ো সংরক্ষণ করা সহজ এবং এটি কয়েক মাস ধরে স্থায়ী হয়।
দুটির মধ্যে কোনটি সেরা?
বলা হয় যে, কাঁচা হলুদ বেশি পুষ্টিকর এবং প্রাকৃতিক হওয়ার কারণে স্বাস্থ্যকর। তবে সুবিধার দিক থেকে, হলুদের গুঁড়ো মানুষের জন্য ভালো। হলুদ দুভাবেই ব্যবহার করলে ভালো হবে। হলুদের গুঁড়ো রান্নার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, অন্যদিকে কাঁচা হলুদ রস বা চায়ে যোগ করে ব্যবহার করা যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment