প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৬ জুন ২০২৫, ১২:৩৩:০১ : ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে, এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় আশঙ্কা অপরিশোধিত তেলের দাম নিয়ে। বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনা হলে, ভবিষ্যতে অপরিশোধিত তেলের দাম ১৫০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। এদিকে, খবর এসেছে যে ভারত একটি বিশাল তেলের মজুদ খুঁজে পেয়েছে। তবে, এটি এখনও খনন করা হচ্ছে।
ভারত বর্তমানে তার চাহিদার প্রায় ৮৫ শতাংশ তেল অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করে। এর মধ্যে রাশিয়া এবং উপসাগরীয় দেশগুলি অন্তর্ভুক্ত। আমেরিকা এবং রাশিয়ার পরে, তেল আমদানির দিক থেকে ভারত বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
এদিকে, কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী অপরিশোধিত তেলের মজুদ সম্পর্কে একটি বড় দাবী করেছেন। যদি তার দাবী সত্য প্রমাণিত হয়, তাহলে তেলের জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের উপর ভারতের নির্ভরতা অনেকাংশে শেষ হতে পারে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সাথে একান্ত আলাপকালে হরদীপ সিং পুরী বলেছেন যে ভারত আন্দামান সাগরে একটি বিশাল অপরিশোধিত তেলের মজুদ আবিষ্কারের দ্বারপ্রান্তে।
তিনি আন্দামানের এই রিজার্ভের তুলনা করেছেন গায়ানার হেস কর্পোরেশন এবং সিএনওওসি কর্তৃক গায়ানার বৃহৎ তেল আবিষ্কারের সাথে। যদি আন্দামান অঞ্চলে গায়ানার মতো তেলের রিজার্ভ পাওয়া যায়, তাহলে এটি ভারতকে জ্বালানি ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগ দেবে। এর সাথে সাথে রপ্তানি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হতে পারে। উল্লেখ্য, বর্তমানে গায়ানা অপরিশোধিত তেলের রিজার্ভের দিক থেকে বিশ্বে ১৭তম স্থানে রয়েছে, যেখানে প্রায় ১১.৬ বিলিয়ন ব্যারেল তেল ও গ্যাসের আনুমানিক রিজার্ভ রয়েছে।
পুরি বলেন যে গায়ানার মতো রিজার্ভ ভারতে আবিষ্কার হলে দেশের অর্থনীতি ৩.৭ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে ২ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতে পারে। আন্দামানে তেলের রিজার্ভ আবিষ্কার ভারতীয় তেল শিল্পের জন্য একটি ট্রাম্প কার্ড হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। এটি কেবল ভারতকে একটি জ্বালানি আমদানিকারক দেশ থেকে একটি জ্বালানি উৎপাদনকারী দেশে রূপান্তরিত করবে না, বরং ভারত বিশ্ব জ্বালানি মানচিত্রে একটি নতুন পরিচয়ও পেতে পারে।
No comments:
Post a Comment