ঋতুস্রাব নিয়ে কথা বলার পুরনো ধারণা ভেঙে যাচ্ছে, কারিনা কাপুর বললেন- ঋতুস্রাব কোনও সমস্যা নয়, সচেতনতার অভাব রয়েছে

 গতকাল, ২৮ মে, বিশ্ব মাসিক স্বাস্থ্যবিধি দিবস পালিত হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে। যাতে নারীরা মাসিকের সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সচেতন হতে পারেন। কিন্তু, ভারতের প্রত্যন্ত গ্রাম ও শহরে বসবাসকারী নারীদের একটি বিশাল জনগোষ্ঠী এখনও মাসিক সম্পর্কে খোলামেলা কথা বলতে পারে না। যার কারণে তাদের অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এই পর্বে, 'মাসিক স্বাস্থ্যবিধি দিবস'-এ, অভিনেত্রী কারিনা কাপুর মাসিক সম্পর্কে খোলামেলা কথা বলেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা একটি পোস্টের মাধ্যমে, অভিনেত্রী জানিয়েছেন যে বাস্তবে মাসিক কোনও সমস্যা নয়, বরং এটি সচেতনতার অভাব।

স্কুলগুলিতে এখন মাসিক কর্নার তৈরি করা হয়েছে

ইনস্টাগ্রামে ছবিগুলি শেয়ার করে, অভিনেত্রী গুজরাটের স্কুলগুলির প্রশংসা করেছেন এবং লিখেছেন, "গুজরাটের স্কুলগুলি এখন মাসিক কর্নার তৈরি করেছে, যা নিরাপদ এবং স্বাগতপূর্ণ উদ্যোগ যেখানে শিক্ষার্থীরা কার্ড গেম, রোল-প্লে অ্যাপ্রোন, ইন্টারেক্টিভ মডেল এবং বইয়ের মাধ্যমে পিরিয়ড সম্পর্কে অন্বেষণ করে এবং শেখে।"

কারিনা আরও লিখেছেন, "ইউনিসেফ ইন্ডিয়ার সহযোগিতায় সরকার স্কুলগুলিতে একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যা পুরনো ধারণা ভেঙে মাসিক সম্পর্কে আলোচনা স্বাভাবিক করতে সাহায্য করছে। ১,০৩,০০০ এরও বেশি মেয়ে এবং ৮৮,০০০ ছেলের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যমে, এটি কেবল সচেতনতা বৃদ্ধি করছে না বরং আত্মবিশ্বাস এবং আত্মমর্যাদাও তৈরি করছে। মেয়েদের স্কুলে থাকতে এবং তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে সহায়তা করছে।"

সন্দীপা ধরও মানুষকে সচেতন করেছেন

কারিনা পোস্টে আরও লিখেছেন, "পিরিয়ডস বান্ধব বিশ্ব, আসুন আমরা খোলামেলা কথোপকথন এবং প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য নিরাপদ পরিবেশকে সমর্থন করি। ঋতুস্রাব গুরুত্বপূর্ণ।" কারিনার আগে অভিনেত্রী সন্দীপা ধর বলেছিলেন যে প্রতিটি ছোট পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের ঋতুস্রাব সম্পর্কে খোলামেলা কথা বলা উচিত।

নিমরত কৌরও ঋতুস্রাব সম্পর্কে খোলামেলা কথা বলেছেন

পিরিয়ড হাইজিন সম্পর্কে নিমরত কৌর বলেছিলেন যে ঋতুস্রাব যেকোনো মহিলার স্বাস্থ্যের একটি অপরিহার্য, প্রাকৃতিক এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবুও এটি নীরবতার মধ্যে আবৃত। মানুষ এটি নিয়ে কথা বলে না, মেয়েরা লজ্জা বোধ করে, বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া অঞ্চলে। এই জায়গাগুলিতে ঋতুস্রাব সম্পর্কিত জিনিসপত্র বিতরণ করা উপকারী হবে। আমি আশা করি এই প্রচেষ্টা কেবল জীবনের মৌলিক বিষয়গুলির অভাব পূরণ করবে না, বরং পিরিয়ড সম্পর্কে কথোপকথনের স্বাভাবিকীকরণও নিশ্চিত করবে।