ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৯ জুন ২০২৫: প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন, রাগে দাঁত দিয়ে স্ত্রীর নাক কেটে ফেললেন স্বামী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের হারদোইতে। প্রেমিকের সাথে দেখা করতে যাওয়ায় স্ত্রীর ওপর এতটাই রেগে যান ওই ব্যক্তি, যে তিনি দাঁত দিয়ে কামড়ে নাক কেটে ফেলেন। রক্তে ভেজা মহিলাকে দেখে পুরো বাড়িতে হইচই পড়ে যায়, এরপর তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে লক্ষ্ণৌ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে হেফাজতে নিয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মামলাটি হরদোইয়ের হরিয়াওয়ান থানা এলাকার দেওরিয়া গ্রামের। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখানে বসবাসকারী মহিলা স্বামীর ওপর রাগ করে বুধবার একই গ্রামে তাঁর প্রেমিকের বাড়িতে দেখা করতে গিয়েছিলেন, তার স্বামী রাম খিলাওয়ানও বিষয়টি জানতে পারেন, এরপর তিনি তাকে অনুসরণ করে তাঁর প্রেমিকের বাড়িতে পৌঁছে যান। সেখানে তাঁর স্ত্রীকে দেখে তিনি খুবই রেগে যান। স্বামী প্রথমে তাঁর স্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করেন এবং তাঁকে বাড়িতে আসতে অনুরোধ করেন। কিন্তু স্ত্রী ফিরে আসতে অস্বীকৃতি জানালে, স্বামী রেগে যান এবং দুজনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়া এতটাই বেড়ে যায় যে ক্ষুব্ধ স্বামী প্রেমিকের সামনেই তাঁর স্ত্রীর নাকে দাঁতে দিয়ে কামড় বসিয়ে দেন।
এখানেই শেষ নয়, স্ত্রী যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকলেও স্বামীর রাগ কমেনা এবং তিনি দাঁত দিয়ে স্ত্রীর নাক কেটে ফেলেন। রক্তে ভেজা মহিলাকে দেখে ঘরে হইচই পড়ে যায়। ঘটনার পর প্রেমিক সুশীল কুমার মহিলার কাটা নাকটি একটি বাক্সে রেখে সোজা থানায় গিয়ে ঘটনাটি জানায়। পুরো বিষয়টি স্থানীয় থানায় জানানো হয়। ঘটনার খবর পেয়ে হরিয়াওয়ান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, এরপর পুলিশ আহত মহিলা ও তার কাটা নাককে হরদই মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায়। এদিকে, তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে চিকিৎসকরা মহিলাকে লক্ষ্ণৌ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করেন।
এই মামলায় পুলিশ গুরুতর ধারায় মামলা দায়ের করেছে এবং অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে যে, ভুক্তভোগী মহিলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। এই মামলায় আশেপাশের লোকজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, এরপর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ঘটনার পর পুরো এলাকায় তোলপাড়। সবাই এই ঘটনা নিয়ে আলোচনা করছেন।
পুলিশ মামলাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে এবং অভিযুক্তর উপযুক্ত শাস্তির প্রস্তুতি নিচ্ছে। পুলিশের মতে, আক্রান্ত মহিলার কাটা নাকটি দ্রুত একটি ব্যাগে করে মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছিল, যাতে প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে এটি ঠিক করা যায়।
No comments:
Post a Comment